গাজায় দুর্ভিক্ষের সঠিক তথ্য লুকানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে। গত বছরের ডিসেম্বরে, দুর্ভিক্ষ ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্যামিন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস নেটওয়ার্ক (FEWS NET)-কে চাপ দিয়েছিলো বাইডেন প্রশাসন, যাতে সংস্থাটি গাজায় দুর্ভিক্ষ চলছে বলে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিংবা গাজায় দুর্ভিক্ষ নিয়ে করা প্রতিবেদনের সঠিক তথ্য লুকিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে। তবে বাইডেন প্রশাসনের এমন দাবি সংস্থাটি প্রত্যাখ্যান করলে তাদের প্রতিবেদন প্রত্যাহারের আদেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএস এইড (USAID) কর্মকর্তা সোনালি কোর্দে ফ্যামিন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস নেটওয়ার্ক-এর প্রধানকে চিঠি লিখে জানায়, গাজায় দুর্ভিক্ষের ‘ঝুঁকি’ জোরদার বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম পরিবর্তন করার জন্য ‘জোরালোভাবে’ সুপারিশ করা হচ্ছে।ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রতিবেদনটি পরিবর্তন না করে প্রকাশিত হলে, বাইডেন প্রশাসন ফ্যামিন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস নেটওয়ার্ক-এর ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবেদনটি মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়। দ্য পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, সংস্থাটির ৪০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন প্রতিবেদন প্রত্যাহারের নির্দেশ আসে।মূলত, বাইডেন প্রশাসন প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে চায়নি কারণ এটি ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা ফিলিস্তিনে ধ্বংসের পরিমাণের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরবে।
সংবাদমাধ্যম দ্য পোস্ট প্রত্যাহারকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপিতে উত্তর গাজার জনসংখ্যার দুটি অনুমান উদ্ধৃত করেছে। একটিতে এই সংখ্যাটি ৬৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ এর মধ্যে এবং অন্যটিতে জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে জনসংখ্যা ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ এর কম হতে পারে।